
নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বদিউল আলমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় হামলাকারীরা দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুরনো শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়।
আহত প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন,আমার চাষা নাজেম উদ্দিন লবণমাঠ প্রস্তুত করছিলেন।
এসময় স্থানীয় আবদুর রহমান, আব্দুল হাকিম, আবু তাহের মহিউদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, মনছুর আলম, আব্দুল মান্নান, জামাল হোসেনসহ কয়েকজন এসে কাজে বাধা দেয়।
বিষয়টি জানতে সেখানে গেলে তারা আমাকে অর্তকিত হামলা করে।
তিনি আরও জানান, ওই জমিটি আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি, যা ২০১৮ সালে ক্রয় করি। তিন বছর ধরে সেখানে লবণ চাষ চলছে। হামলাকারীরা আমার জমি জবরদখলের চেষ্টা করছে।
চাষা নাজেম উদ্দিন বাদশাহ বলেন, সকালে মাঠে কাজ করার সময় ১০-১২ জন এসে বাধা দেয়। আমি জানাই যে জমিটি প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লাগিয়াত নিয়ে তিন বছর ধরে চাষ করছি।
তারা আমাকে জোর করে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দিয়ে নিজেরা কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে মেম্বার সাহেব ঘটনাস্থলে গেলে তাকে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী শেফায়েত উল্লাহ বলেন, মাঠে উত্তেজনা দেখে গিয়ে দেখি মেম্বারকে ৭-৮ জন মিলে মারছে। থামাতে গেলে আমাকেও ইট দিয়ে আঘাত করা হয়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী নাজেম উদ্দিন বলেন, দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হচ্ছিল। কয়েকজন মিলে মেম্বার বদিউল আলমকে মারধর করছিল। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের রক্তপাতের আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। দখল-বেদখলসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান,ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Posted ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta